প্রাপ্তিস্থান
অনলাইন এবং ফেসবুকে সারাদেশে হোম ডেলিভারি
দ্বিমিক প্রকাশনী, ফোন: ০১৭০৭ ৯৬ ০৩ ৭২ (যোগাযোগ ও বিকাশ)
রকমারি ডট কম, ফোন: ১৬২৯৭
দারাজ ডট কম ডট বিডি, ফোন: ১৬৪৯২
ঢাকা
হক লাইব্রেরী, নীলক্ষেত, ঢাকা, ফোন: ০১৮২০-১৫৭১৮১
মানিক লাইব্রেরী, নীলক্ষেত, ঢাকা, ফোন: ০১৭৩৫-৭৪২৯০৮
রানা বুক পাবলিশার্স, নীলক্ষেত, ঢাকা, ফোন: ০১৬২৩-০৫৮৪২৮
বাতিঘর ঢাকা, বিশ্বসাহিত্যকেন্দ্র, বাংলামটর।
চট্টগ্রাম
বাতিঘর, প্রেস ক্লাব ভবন, জামালখান রোড, চট্টগ্রাম।
বরিশাল
বুক ভিলা, বিবিরপুকুর পাড়।
রাজশাহী
বুক পয়েন্ট, সোনাদীঘির মোড়, রাজশাহী।
ভূমিকা
বছর তিন-চার আগে আমরা দেশে হাইস্কুলের ছেলেমেয়েদের কম্পিউটার প্রোগ্রামিং-এ আগ্রহী করে তোলার একটি উদ্যোগ নিই। এটি শুরু হয় ২০১৩ সালে ‘আওয়ার অব কোড’ নামে একটি আন্তর্জাতিক কার্যক্রম দেশে চালু করার মাধ্যমে। বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (www.bdosn.org)-এই কাজটি তখন শুরু করে। এর পরের বছরই সরকারের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হাইস্কুলের ছেলেমেয়েদের জন্য ‘জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা’ শুরু করে। গত তিন বছর ধরে এটি সাফল্যের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আওয়ার অব কোড করার সময় আমরা শুরু থেকে লক্ষ করি, খেলার মাধ্যমে প্রোগ্রামিং শেখার এই পদ্ধতি এমনকি খুবই ছোটোরাও শুরু করতে পারে। এবং তারা খুব সহজে এই কাজটি করতে পারে। ২০১৭ সালের আওয়ার অব কোডের আয়োজনে বিডিওএসএনের পক্ষ থেকে সারা দেশের ২০ জেলাতে একদল ভলান্টিয়ারকে পাঠানো হয়। তারা খেলার মাঠে, স্কুলে, পুকুরপাড়ে, বাস স্টপে তথা হাটে-মাঠে-ঘাটে যেখানে ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েকে পেয়েছে সেখানেই ল্যাপটপ খুলে বসে পড়েছে। এর মধ্যে কোনো কোনো জায়গায় পথশিশুরাও যোগ দিয়েছে। আর আমরা আশ্চর্য হয়ে দেখেছি, ওরা খুব সহজে প্রোগ্রামিংয়ের মূল ব্যাপারগুলো ধরে ফেলছে। আমাদের ভলান্টিয়াররা যখন ঢাকায় ফিরে তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করল তখন আমরা ভাবলাম সারা দেশের আনাচকানাচে তো এরকম আয়োজন করা সম্ভব হবে না। তাহলে সবার কাছে প্রোগ্রামিংয়ের এই আশ্চর্য জগতের খবর কেমন করে পৌঁছে দেওয়া যাবে?
সহজ উত্তর হলো- বাংলায় একটি বই লিখে ফেলা, যা প্রোগ্রামিংয়ের জটিল পদ্ধতির অবতারণা ছাড়াই প্রোগ্রামিংয়ের মূল ব্যাপারগুলো তুলে ধরতে পারবে। আমাদের মনে পড়ল বিশ্বখ্যাত ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (MIT― Massachusetts Institute of Technology) ঠিক এরকম একটি প্রোগ্রামিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে প্রায় দেড় যুগ আগে! আমরা ভাবলাম, তাহলে আমরা বাংলা ভাষাতে স্ক্র্যাচের একটি বই লিখে ফেলি!
যেই ভাবা, সেই কাজ! আমরা তিনজন মিলে বাংলা ভাষাতে এই বইটি লিখে ফেলেছি। আমরা খুব দ্রুততার সঙ্গে এই বইটি লিখেছি। কাজেই কিছু ভুল-ভ্রান্তি থাকতেই পারে। তবে, আমাদের যত্নের কমতি সেখানে ছিল না।
বইটিতে আমরা প্রোগ্রামিং শেখানোর গতানুগতিক পথে না হেঁটে বরং বিভিন্ন কাজ করে দেখিয়েছি। প্রোগ্রামিংয়ের অনেক প্রচলিত শব্দ ও সংজ্ঞা আমরা সযত্নে এড়িয়ে গিয়ে প্রোগ্রাম তৈরিতেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছি, যেন শিশুরা প্রোগ্রামিংয়ের আনন্দ খুঁজে পায়। প্রোগ্রামিংয়ের বিষয়টি যেন তারা লেখাপড়ার মতো চিন্তা না করে খেলা হিসেবে গ্রহন করে। আশা করি, বইটি আমাদের শিশুদের চিন্তাজগতকে সমৃদ্ধ করবে।
মুনির হাসান,
সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি ও
সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক
তাহমিদ রাফি,
প্রধান নির্বাহী, দ্বিমিক কম্পিউটিং
সম্পাদক ও প্রকাশক, দ্বিমিক প্রকাশনী
ও
তামিম শাহ্রিয়ার সুবিন,
অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলর, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি
ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার, গ্র্যাব।
সূচীপত্র
ভূমিকা
লেখক পরিচিতি
অধ্যায় ১ : প্রোগ্রামিং – কেন দরকার?
অধ্যায় ২ : স্ক্র্যাচে অ্যাকাউন্ট তৈরি
অধ্যায় ৩ : স্ক্র্যাচে প্রথম প্রোগ্রাম
অধ্যায় ৪ : স্প্রাইট নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা
অধ্যায় ৫ : স্ক্র্যাচ দিয়ে আঁকাআঁকি
অধ্যায় ৬ : একটুখানি জ্যামিতি
অধ্যায় ৭ : অপারেটর ব্লক
অধ্যায় ৮ : আরো একটু জ্যামিতি
অধ্যায় ৯ : তিনটি মজার প্রোগ্রাম
অধ্যায় ১০ : সহজ অ্যানিমেশন
অধ্যায় ১১ : মিনি করল গোল
অধ্যায় ১২ : জিপিএ ক্যালকুলেটর
অধ্যায় ১৩ : স্ক্র্যাচ দিয়ে মজার গল্প তৈরি
অধ্যায় ১৪ : রাস্তায় গাড়ি চলাচল
অধ্যায় ১৫ : নিউটনের মাথায় আপেল পড়া
অধ্যায় ১৬ : ফুলের পাপড়ি আঁকা
অধ্যায় ১৭ : সংখ্যার মজার খেলা
অধ্যায় ১৮ : আরো বেশি প্রোগ্রামিং
বইয়ের বিবরণ
শিরোনাম | স্ক্র্যাচ দিয়ে প্রোগ্রামিং শুরু |
লেখক | মুনির হাসান, তাহমিদ রাফি, তামিম শাহ্রিয়ার সুবিন |
ক্যাটেগরি | কম্পিউটার প্রোগ্রামিং |
ISBN | 978-984-8042-00-7 |
সংস্করন | প্রথম প্রকাশ, ফেব্রুয়ারী, ২০১৮ |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ১২০ |
কভার মূল্য | ৪৮০/- টাকা |
লেখক পরিচিতি

মুনির হাসান
মুনির হাসান (জন্ম ২৯ জুলাই, ১৯৬৬)
মুনির হাসানের জন্ম চট্টগ্রামে। হাইস্কুলের পড়ালেখাও সেখানেই― সেন্ট মেরিজ, মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি ও মুসলিম হাইস্কুল। পরে চট্টগ্রাম কলেজ হয়ে ঢাকার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
দৈনিক সংবাদের সাপ্তাহিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ফিচার পাতায় লেখালেখির মাধ্যমে সাহচর্য পেয়েছেন বিজ্ঞান লেখক ও বিজ্ঞান কর্মী আ. মু. জহুরুল হক, আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন কিংবা এ আর খানের। তাদের অনুপ্রেরণায় নিজেকে বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণের কর্মী হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।
১৯৯৫ সাল থেকে ভোরের কাগজে এবং ১৯৯৮ সাল থেকে দৈনিক প্রথম আলোয় বিজ্ঞানবিষয়ক সাপ্তাহিক ফিচার পাতার সম্পাদনা করেছেন।
২০০৩ সালে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদের সঙ্গে থেকে অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে গড়ে তোলেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। বর্তমানে তিনি কমিটির সাধারণ সম্পাদক।
গণিতের পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রোগ্রামিং প্রসারের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর ‘চাকরি খুঁজব না, চাকরি দেব’ নামের প্ল্যাটফর্মটা তরুণদের উদ্যোক্তা হতে উৎসাহিত করছে।
গণিত আর বিজ্ঞান নিয়ে লেখার পাশাপাশি যুক্ত রয়েছেন ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির পাঠ্যপুস্তক রচনা ও সম্পাদনায়।
বর্তমানে দৈনিক প্রথম আলোয় যুব কর্মসূচি সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
স্ত্রী সামিয়া আখতার, পুত্র ফারদীম রুবাই ও কন্যা ওয়ামিয়া বিদুষীকে নিয়ে মুনির হাসান ঢাকায় থাকেন।

তাহমিদ রাফি
তাহমিদ রাফি– এর জন্ম ১৯৮৮ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকা জেলায়। তিনি সেন্ট যোসেফ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৪ সালে মাধ্যমিক ও নটরডেম কলেজ থেকে ২০০৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। ২০০৩, ২০০৪ ও ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক গণিত অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। ২০০৫ সালে মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিক ৪৬-তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে অংশনগ্রহণকারী প্রথম বাংলাদেশ দলের সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন ২০১২ সালে।
স্নাতক সম্পন্ন করে তিনি কিছুদিন সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তী সময়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষা প্রসারের জন্য তামিম শাহ্রিয়ার সুবিনের সঙ্গে তিনি সহ-প্রতিষ্ঠা করেন দ্বিমিক কম্পিউটিং। এর কিছুদিন পরে তিনি তৈরী করেন দ্বিমিক প্রকাশনী। প্রকাশনীর মাধ্যমে তিনি কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন বই তৈরী করেছেন। সমসাময়িক সময়ে তিনি বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, বেসিস বিআইটিএম, বিডিওএসএন, কোড ইট গার্ল সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত প্রোগ্রামিং ট্রেনিং প্রোগ্রামে ইন্সট্রাকটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তামিম শাহ্রিয়ার সুবিন
তামিম শাহ্রিয়ার (ডাকনাম : সুবিন)-এর জন্ম ১৯৮২ সালের ৭ নভেম্বর ময়মনসিংহে। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার হারং গ্রামে। তাঁর বাবা মো: মোজাম্মেল হক ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা ফেরদৌসি বেগম গৃহিণী। স্ত্রী সিরাজুম মুনিরা ও পুত্র আরাভ শাহরিয়ারকে নিয়ে বর্তমানে সিঙ্গাপুরে বসবাস করছেন।
লেখাপড়া করেছেন হোমনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এ কে উচ্চ বিদ্যালয়, নটর ডেম কলেজ এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০৬ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে পাস করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন বিভিন্ন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। পরবর্তী সময়ে (২০০৭ ও ২০০৮ সালে) তিনি এসিএম আইসিপিসি ঢাকা রিজিওনাল-এর বিচারক ছিলেন। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও পরে সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে কাজ শুরু করেন। বাংলাদেশে থাকাকালীন সময়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন মুক্ত সফটওয়্যার লিমিটেড ও দ্বিমিক কম্পিউটিং। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডে একজন একাডেমিক কাউন্সিলর। বর্তমানে সিঙ্গাপুরে গ্র্যাব নামক একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন।